যশোরের অভয়নগরে ট্রেনে কাটা পড়ে ফিরোজা বেগম (২৯) নামের এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার তিন ঘণ্টা পর রোববার (২৮ মে) দিনগত রাতে রেললাইন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের মজুমদার অটোরাইস মিলের পেছনে রেললাইন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফিরোজা যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের প্রতাবকাটী গ্রামের মহসীন গাজীর মেয়ে। তিনি অভয়নগরের প্রেমবাগ ইউনিয়নের গাবুখালী গ্রামে ইমরান হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর চুলের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের বাবা মহসীন গাজী জানান, তিন বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার মেয়ে বাবার বাড়ি মণিরামপুরে চলে আসেন। এরপর তিনি অভয়নগরের গাবুখালী গ্রামে এক চুলের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ঘটনার দিন রোববার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কর্মস্থল চলে যান। এদিন সন্ধ্যার পর তিনি মেয়ের দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন। তবে বিচ্ছেদের পর থেকে তার মেয়ে মানসিক রোগে ভুগছিল বলে তিনি দাবি করেন।
মজুমদার অটোরাইস মিলের শ্রমিকরা জানান, বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে যশোরগামী সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে এক নারীর মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে রেললাইনে পড়ে থাকা ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে।
নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার টিটব শিকদার জাগো নিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে খুলনা রেলওয়ে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনা রেলওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর সড়কপথে আসতে দেরি হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মিলন রহমান/এমকেআর
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/tVeSj3i
via IFTTT
Comments
Post a Comment