‘১৫ দিন আগে এক আত্মীয়ের মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে বিয়ে হয়েছিল মিলনের। প্রায় ১৩ বছর পর ছুটি নিয়ে দেশে আসছিল সে। কিন্তু আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলো। অন্যরাও সেদিন মিলনকে এগিয়ে দিতে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।’
দুঃখ করে এসব কথা বলছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া আনিসুর রহমান মিলনের (৩৫) বাবা বাহার মিয়া।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে আফ্রিকার জর্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ছয়জনে।
আরও পড়ুন: বাবা-ছেলেসহ নিহত ৫, সবার বাড়ি ফেনী
নিহত আনিসুর রহমান মিলন
মিলনের গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নে।
নিহতের ভাই রিমন মিয়াজী বলেন, ভাই প্রায় ১৩ বছর ধরে আফ্রিকায় থাকেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ বাংলাদেশির বাড়িতে শোকের মাতম
গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কেপটাউনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেদিন লরিচাপায় পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হন। এর চারদিন পর মারা গেলেন মিলন।
নিহত অন্যরা হলেন ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিরলী গ্রামের শরিয়ত উল্যাহর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫), দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামের মিলনের নতুন বাড়ির আবদুল মান্নান মিলনের ছেলে দীন মোহাম্মদ রাজু (৩৩), একই উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর তমিজ উদ্দিন ভূঞা বাড়ির মৃত সিরাজ উল্যার ছেলে মোস্তফা কামাল পোপেল (৩৫) এবং সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুরের বাসিন্দা আবুল হোসেন (৪৫) ও নাজিম হোসেন (১০)। এদের মাঝে আবুল হোসেন ও নাজিম সম্পর্কে বাবা-ছেলে।
আরও পড়ুন: আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৬
জেডএইচ/
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/aL3Y6W2
via IFTTT
Comments
Post a Comment